সোমবার ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকালিার লক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকার জন্য গঠিত কমিটির এক অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তঃ
পূর্ব রাজাবাজার এলাকার নাজনিন স্কুল এন্ড কলেজে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), এটুআই, ই-কমার্স অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
এলাকায় একটি মাত্র প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ (গ্রিন রোডে আইবিএ হোস্টেলের পাশে) খোলা থাকবে। লকডাউন চলাকালে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। জনগণের চলাচল অত্যন্ত সীমিত রাখা হবে।
লকডাউন চলাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বসবাসরত লোকজন বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের লোকজন ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করা যাবে যা বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। এটুআই ও ই-ক্যাব যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে। হোম ডেলিভারির জন্য ইতিমধ্যে একদল প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী তৈরি করা হয়েছে।
যাদের অনলাইন সুবিধা নেই, নগদ অর্থে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে চান তাদের জন্য দুই-একটি শাক-সব্জি, মাছ-মাংসের ভ্যান, ভ্যানচালক ও পণ্যসামগ্রী সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ভিতরে প্রবেশ করানো হবে।
ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান পূর্ব রাজাবাজার এলাকার কর্মহীন, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের একটি তালিকা প্রণয়ন করছেন। তালিকা অনুযায়ী তাদেরকে ডিএনসিসি থেকে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।ওই এলাকার অসুস্থ রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালু করা হবে।
পূর্ব রাজাবাজার এলাকার সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে লকডাউনের বিষয়ে আজ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে এবং এলাকায় অবস্থিত নাজনিন স্কুল এন্ড কলেজে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ স্থাপন করা হবে। এটি সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। বুথটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
লকডাউন যথাযথভাবে পালিত হওয়ার লক্ষ্যে ওই এলাকায় পুলিশের টহল থাকবে এবং মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হবে। তবে গুরুতর রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে।
এছাড়া জরুরি সেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীগণ লকডাউন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।
ডিএনসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা টিম সেখানে কাজ করবে। তবে ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী বা মেডিকেল বর্জ্য যেমনঃ মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি আলাদাভাবে প্যাকেট করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছে দিতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য কোনোভাবেই অন্যান্য বর্জ্যের সাথে মেশানো যাবে না।
অনলাইন সভায় অন্যান্যের মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা, এটুআই এর প্রতিনিধি রেজাউল জামি, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন পরিচালক হাসপাতাল ডা. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার, শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।