বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরোজিমাত সামির মঙ্গলবার বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মালদ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র। শুরু থেকেই দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার যা কালের পরিক্রমায় বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
নতুন করে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে মালদ্বীপ
রাষ্ট্রপতি বলেন, চিকিৎসা, কারিগরি ও প্রযুক্তিসহ উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন অনেক উন্নত মানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
তিনি নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্যসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। এতে দুদেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় থাকার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চান রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি উভয় দেশের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তিনি এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিন: রাষ্ট্রপতি
মালদ্বীপের হাইকমিশনার করোনাকালে তাদের দেশে চিকিৎসকদল প্রেরণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন