পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ‘অনেক উদ্বিগ্ন’।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সরকারকে বলে থাকি... তারা সবসময় আমাদের আশ্বাস দেয়। কিন্তু অনেক কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার এবং ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আতিথ্য করছে এবং ২০১৭ সালে অনুপ্রবেশের পর থেকে গত পাঁচ বছরে একজনকেও প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, এটি একটি ‘খুব জটিল সমস্যা’ এবং সেখানে (মিয়ানমারের অভ্যন্তরে) অনেক ধরনের অপারেটর রয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) এর কোনো উপস্থিতি নেই এবং বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে এ ধরনের কোনো বিদেশি সত্ত্বাকে প্রচার বা আশ্রয় দেয় না।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ স্থিতিশীলতার ইস্যুতে চীনের কাছে সমর্থন চেয়েছে এবং বিশ্বাস করে যে চীনা পক্ষ মিয়ানমারকে তা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়টি মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়-এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশ অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য ইইউ’র ৬.২ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা অনুমোদন
তিস্তা প্রকল্প
তিস্তা-সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে চীনের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সরকারিভাবে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব এখনও পাননি।
তিনি অবশ্য একটি ফরাসি বিশেষজ্ঞ দলের ১৯৮৮-৮৯ সালের সফরের কথা উল্লেখ করেছেন, যারা বাংলাদেশে কীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে একটি ব্যাপক গবেষণায় (তিস্তাসহ) কাজ করেছেন।
প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাবে সে সময় প্রকল্পটি নেয়া সম্ভব না হলেও সম্প্রতি পুরনো প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের কথা শুনেছেন বলে জানান তিনি।
মোমেন সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞাসা করতে উৎসাহিত করে বলেন, তারা হয়তো জানেন এখন কোন পর্যায়ে আছে।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রংপুর বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং তিস্তা ব্যারেজে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাষ্ট্রদূত রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর ওপর সিএসসিইসি কর্তৃক নির্মাণাধীন সেতু প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী