বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্বরতা ও বাংলাদেশিদের স্বাধীনতার স্বপ্নকে বানচাল করতে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ষড়যন্ত্রের জন্য জামায়াতে ইসলামীর কড়া সমালোচনা করেছেন। বুধবার তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে এক পোস্ট করে জামায়াতের বিভিন্ন স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যখন শেষের দিকে, বাঙালি জাতির বিজয় যখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। পাকিস্তানিদের বর্বরতার বিরুদ্ধে এবং মুক্তিকামী বাঙালি জাতির পক্ষে যখন বিশ্বজুড়ে জনমত তুঙ্গে, ঠিক তখনই নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানিরা। তারা তখন জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে বাঙালি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের অধিবেশনে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। উদ্দেশ্য, বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় বানচাল করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করা।’
জয় লেখেন, ‘১৯৭১ সালের নভেম্বরে যখন মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি জান্তারা ঠিক তখনই পাকিস্তানি জান্তার সমর্থনে ও বাঙালির জাতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে কথা বলতে যায় জামায়াতের মুখপাত্র ও মুসলিম লীগ নেতা শাহ আজিজুর রহমান। সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধ বিষোদগার করে সে।’
তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তান কূটনৈতিক দলের বাঙালি নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার কথা অস্বীকার করে এই শাহ আজিজ। এমনকি অন্যান্য মুসলিম দেশকে যেনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয় এজন্য আহ্বান জানায় সে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি লেখেন, ‘এমনকি যুদ্ধকালে নিয়াজীর তৈরি সশস্ত্র আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীও দারুণ সহযোগিতা করেছে পাকিস্তানি সেনাদের। এসব বাহিনীর প্রধান ছিল গোলাম আযম, শাহ আজিজ, নিজামী, মুজাহিদসহ শীর্ষ জামায়াত ও শিবিরের নেতারা। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৭১-এর ধর্ষক-খুনিদের এই কমান্ডারদের মন্ত্রী বানিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিকে মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেয় খালেদা জিয়া: জয়