কলেজছাত্রী মোশারত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ সাত আসামির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা পিবিআইকে ৮ ডিসেম্বর নতুন সময়সীমা বেঁধে দেন।
দ্বিতীয়বারের মতো পিবিআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও )গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। এর আগে গত ২ নভেম্বর প্রথমবার প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২১ নভেম্বর
তানিয়ার ভাষ্যমতে, তার বোন মুনিয়ার সাথে আনভীরের সম্পর্ক ছিল। সে নিয়মিত মুনিয়ার সাথে দেখা করতে গুলশানের ওই অ্যাপার্টমেন্টে আসত।
গত ১৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আনভীরকে ক্লিনচিট দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
৬ সেপ্টেম্বর, মুনিয়ার বোন ঢাকার অষ্টম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নতুন করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।
আদালত অভিযোগটি রেকর্ড করার পর পিবিআইকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- আনভীরের বাবা-মা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম ও আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম ও মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা, বন্ধু সাইফা রহমান মিম এবং ফ্ল্যাটের মালিক ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী শারমীম আক্তার।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা: আনভীর কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না জানতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব