মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মামা-ভাগনে-ভাগনির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পশ্চিম ধামারণ বিলে শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় আরেক ভাগনে আহত হয়েছে।
নিহতরা হলো- মামা রবিউল হাসান (১৬), তার ভাগনি সানজিদা আক্তার (৯) ও ভাগনে লামিম হোসেন (১২)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
আহত আরেক ভাগনে সিফাত হোসেনের (১৫) পা সমান্য পুড়ে গেছে।
নিহত লামিম ও আহত সিফাত গাজীপুরের বাস নির্মাণ ওয়ার্কসপের মিস্ত্রী কামাল হোসেনের ছেলে। আর সানজিদা তাদের খালাতো বোন। সে মাদরাসার শিক্ষার্থী। সানজিদার বাবার নাম সাইফুল হোসেন। একই উপজেলার সোনারং গ্রামে তারা বসবাস করতো।
মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। আর নিহত রবিউল তাদের মামা। সে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্বজনরা জানায়, সিফাত আহতাবস্থায় দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর জানালে স্বনজরা তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এএসএম ফেরদৌস জানান, তারা বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। তবে তাদের শরীরে পুড়ে যাওয়ার কোন চিহ্ন পওয়া যায়নি।
এছাড়া বেঁচে যাওয়া সিফাত বিকট শব্দের কারণে এখনও স্তব্ধ অবস্থায় রয়েছে। সে নানা বাড়িতেই আছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করা হলেও তার বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন।
স্বজনদের বুকফাঁটা আর্তনাদ ও আহাজারিতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়।
টঙ্গীবাড়ির দিঘিরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, অসচেতনতা আর অবেহেলাই এমন করুণ মৃত্যুর কারণ। বৃষ্টি বাদলের মধ্যে শিশুদের কোনভাবেই বিলে যেতে দেয়া ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে বজ্রপাতে নানা-নাতির মৃত্যু