বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্যের জেরে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলার আবেদন জমা দেন।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আশ-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে আবেদনের শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘জারজ’ আখ্যা দেন এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মন্ত্রীর দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে মন্ত্রী অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার ৬ ডিসেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
এদিকে বেফাঁস মন্তব্য এবং অডিও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
রিটে জামালপুর-৪ আসনের মুরাদ হাসানে কর্মকান্ডের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।