চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জাটকা ধরার দায়ে ১৫ জেলেকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান।
দণ্ডপ্রাপ্ত সব জেলের বাড়ি মতলব উত্তর থানায়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলে মো. রুবেল সরদার মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা।
অপর ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মতলব উত্তর উপজেলার মো. হুমায়ুন মৃধা, আক্তার হোসেন, ইয়াকুব ব্যাপারী, ইয়াজল চোকদার, সাইদুল রহমান, আরিফুল ইসলাম, লিটন বর্মন, মো. হোসেন, আবুল হোসেন, মনির হোসেন, ছৈয়দ হোসেন, মো. সাদেক, মাদব চন্দ্র বর্মন ও মো. আলী নুর।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিপ ইয়ার্ড পরিচালনা: ৫ জনকে কারাদণ্ড
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, বুধবার বিকাল ৩টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩টি হাইস্পিড বোট নিয়ে পদ্মা-মেঘনার মোহনা এলাকা, মিনি কক্সবাজার, রাজরাজেশ্বর, মতলব উত্তরের মোহনপুর এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় কাচিকাঠা নামক স্থান থেকে জাটকা ধরা অবস্থায় ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় ১ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৫টি বেহুন্দি জাল, ৫ কেজি জাটকা জব্দ এবং একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়।
অভিযান শেষে রাতেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলেদের কারাদণ্ড এবং জব্দকৃত জালগুলো কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। জব্দকৃত জাটকা দুস্থদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড