নওগাঁয় অপহরণের পর পুলিশ সুপারের মোবাইলে মেসেজ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি সদস্যরা। এসময় অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকিকে আটক করতে না পারলেও তারা বাবা-মাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার সকালে জেলা ডিবির কার্যালয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উদ্ধার কিশোরীর বাড়ি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯: জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন, কিশোরী উদ্ধার
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকির সাথে পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রকি বিভিন্ন ছেলেকে ডেকে এনে জিম্মি করতে বললে ওই কিশোরী রাজি হয় না। এরই এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৩ অক্টোবর বিকালে মেস থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান রকি ওই কিশোরীকে অপহরণ করে সদর উপজেলার গাংজোয়ারতার নিজ বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে রেখে ৯ দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। গতকাল রাতে ওই কিশোরী অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকির মোবাইল থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল মেসেজ করে তাকে উদ্ধারের কথা জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
এরপর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় রাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এসময় অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকি পালিয়ে যায়। তবে মাহমুদুল হাসান রকির বাবা মোজাম্মেল হক এবং মা তাছলিমা বেগমকে আটক করা হয়। আটকের পর মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামসুদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।