রমজান উপলক্ষে এবার কোনো পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, রমজানে পরিবহন ব্যবস্থা যাতে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে ও সরবরাহে কোথাও প্রতিবন্ধকতা না হয় সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছি।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশনে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি বড় তেল উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরিগুলো ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। তারা তেলের মূল্য ঠিকভাবে লেখা হচ্ছে কি না সেটি দেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসিদের আমরা বলেছি, বাজার মনিটরিং করতে। পরিবহন ব্যবস্থা শৃঙ্খলিত ও সরবরাহ ঠিক রাখতে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে আমরা এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। সেখানে চাল, তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা থাকবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই পণ্যগুলোর বিতরণ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকাটা আপডেট করার জন্য তাদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছি। তারা যেন আগামী দুই মাসের মধ্যে সংযোজন ও পরিবর্তন করে পরিপূর্ণ একটি তালিকা দেয়।
তিনি আরও বলেন, স্থায়ী দোকানে কীভাবে ডিলার নিয়োগ করতে পারি, সে ব্যাপারেও আগামী দুই মাসের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ অনুযায়ী জনপ্রশাসন এই তালিকা আমাদের পাঠাবে। আগামী অর্থবছরে আমরা আশা করি স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্যগুলো দিতে পারব।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ ব্যানারে প্রতিটি গ্রাম থেকে একটি হস্তশিল্প পণ্যকে তুলে নিয়ে আসতে চাই। আগামী রপ্তানি মেলায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সেসব পণ্য ও কারিগরদের আমরা সহযোগিতা করব। তাদের কারিগরি, আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি পণ্যটি বিপণনের ব্যবস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেইল ও ই-কমার্সের মাধ্যমে করে দেবে।
টিটু বলেন, ডাব্লিউটিও’র ৫০ মিলিয়নের একটি ফান্ড করা হয়েছে ই-কমার্স ও নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে। সেখানে আমরা সহযোগিতা চাইব। অনেকগুলো বন্ধুরাষ্ট্র আমাদের এই বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। আশা করি যখন যেটা পাব, সেই অনুযায়ী আমরা পণ্যটি দেশ ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দৃশ্যমান করব।
ভারত থেকে চিনি ও পেঁয়াজ কবে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিঠি আমরা পেয়ে গেছি। আমাদের দূতাবাস কাজ করছে। তারা (ভারত) আমাদের কবে নাগাদ ও কীভাবে পণ্য পাঠাবে তা আজকে আমরা জানতে পারব।
রোজার আগে এসব পণ্য আসবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই রোজার আগে আসবে।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মাঠপর্যায়ে তদারকি করছি, এবার হাটগুলোতে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর অর্ধেক ছিল। এটা ঠিক। কিন্তু কৃষকরা যদি একটু ভালো দাম পায়, আগামী বছর এই সময় উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা আপনারা লিখে রাখতে পারেন। কারণ কৃষকরা তাহলে উৎসাহিত হবে। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় পেঁয়াজের দামটা একটু বেশি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী