আসন্ন ঈদুল আজহায় মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সরকার এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল করার পর আজ বৃহস্পতিবার গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানীর কিছু সড়কে যানজট দেখা গেছে। এ কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, খুব সকালে বেশ কিছু বাস টার্মিনাল ছেড়ে গেলেও রাজধানীর মিরপুর রোড, উত্তরা, বনানী, নিউ মার্কেট এবং মহাখালী এলাকা পার হতে অনেক সময় লেগেছে।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার বয়স ১৮ বছর করার চিন্তা করছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা রুটের বাসগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সকালে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সড়কে যানজট দেখা যায়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ বলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে এতদিন অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোতে পারেনি। লকডাউন শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছে। তবে, সব ধরনের কোভিড-সুরক্ষা প্রোটোকলগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিতে পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সড়কে কঠোর নজরদারি রাখছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু
ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, সকাল থেকে সব যানবাহন চলাচল শুরু করায় সড়কে যানবাহনের বিশাল চাপ দেখা গেছে।
এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চ পরিষেবাগুলো ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে সারাদেশে আবার চলাচল শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১২ জুলাই রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোন টিকেট দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেনসহ সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে লকডাউন দিয়েছিল। দুই দফায় লকডাউন বাড়ানোর পর ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামী ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর লকডাউন দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।