মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রায় ২৮টি মামলার তথ্য আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। এগুলো যাচাই করতে হবে।’
‘মামলাগুলোর মধ্যে মাত্র চারটি হলো রাজনীতিবিদ এবং কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ বাকী মামলাগুলোর সাথে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত,’ বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয়, সেটিতে আমি অবাক হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘কানাডার টরোন্টোতে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর আছে এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়াশোনা করছে। শুধু কানাডা নয়, মালয়েশিয়াতেও একই অবস্থা ‘
তবে তথ্য পাওয়া খুব কঠিন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়ায় যে তথ্য বের হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। আসলে সংখ্যাটি তত নয়।’
তিনি বলেন, এর জন্য বিদেশি সরকারও কিছুটা দায়ী। সুইজারল্যান্ডে কে ব্যাংকে টাকা রাখলো, সেই তথ্য আমাদের দেয় না।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ট্রান্সপারেন্সির কথা বলে, কিন্তু যদি বলি কার কার টাকা আছে, সেই তথ্য দাও, তখন তারা দেয় না। এটি একটি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ দেশের বিদ্যমান আইন মেনে বিদেশে টাকা পাঠালে ঠিক আছে, তবে যদি তারা অবৈধভাবে অর্থ পাঠিয়ে থাকে তবে সরকার আইনের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনতে পারে। আর অনেক আগে থেকেই এটা হয়ে আসছে।
যারা বিদেশে অর্থপাচার করেছেন তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টারস‘অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বক্তব্য দেন।