পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়ানোর দায়ে এক যুবকের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব (১৯) রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বড়গাছি হাজীপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
রাজশাহী সাইবারক্রাইম আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাট ইউএনও হত্যাচেষ্টা মামলায় বাগান মালির ১৩ বছরের কারাদণ্ড
তিনি বলেন, ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে আসামি রাজিব তার ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর নির্মাণ চলা পথে বাধা পড়েছে। তাই এক লাখ বা তারও বেশি মানুষের মাথা প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে বের হয়েছে ৪১টি দল। তারা এই মাথা সংরক্ষণ করার জন্য পথে ঘাটে, খেলার মাঠে, হাটে বাজারে ইত্যাদি জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের কাছে রয়েছে ধারালো ছুরি ও গ্যাস স্প্রে। যা ১০-১৫ হাত দূর থেকে নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হয়ে যাচ্ছে অজ্ঞান। আর তখন তারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাথা। এদের প্রধান লক্ষ্য হলো নারী ও শিশু। ঘরে ঢুকেও এরা করছে এই জঘন্যতম কাজ। আজও কেটে নিয়েছে অনেক অনেক মানুষের মাথা। তাই পুরো এলাকায় মাইকে এলাউঞ্জ করে সতর্ক করে দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, আসামি রাজিব হোসাইনের বিরুদ্ধে আনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(১)/৩১(১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩১(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড