কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হুদা ও আলী হায়দার কামালসহ তিন বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মঙ্গলবার এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সেতু ভবন, মেট্রোরেল স্টেশনে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
জামিন পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্যসচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন এ্যানি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘আশা করি, আজই তিনি কারামুক্ত হচ্ছেন।’
একাধিক মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ও আলোচিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকেও জামিন দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির একাধিক নেতা জামিন পেয়েছেন। দলটির অন্য নেতাদের মধ্যে আছেন নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মো. আবু তাহের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও গাজীপুর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি সামিউল হক ফারুকী ও শিবিরের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বা পুলিশ প্রসিকিউশনের শুনানি ছাড়াই রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।