আবেদনটি ফিরিয়ে নিতে মিন্নির আইনজীবীর আরজির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে মিন্নির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফআর খান।
আদেশের পরে মাক্কিয়া ফাতেমা বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে রিফাত শরিফ হত্যা মামলাটি নিজের ক্ষেত্রে বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। কিন্তু এরপর জানা যায় ইতিমধ্যে ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। তাই আবেদনটি না চালানোর কথা বলে ফেরত চাওয়া হয়।’
রিফাত শরিফ হত্যা মামলার বিচার বরগুনার জেলা দায়রা জজ আদালতে চলছে। এ আদালত থেকে অন্য আদালতে মামলাটি বদলের জন্য উচ্চ আদালতে শিগগির আবেদন করা হবে বলে জানান মাক্কিয়া ফাতেমা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফআর খান জানান, মামলার ৭৫ সাক্ষীর মধ্যে ইতিমধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম দিনে মামলায় মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এবং ৮ জানুয়ারি থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গত বছরের ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রিফাতকে ওই দিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
গত ১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে মিন্নির বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমানে তিনি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে আছেন।