বুধবার রুলের শুনানি শেষ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করে।
শুনানিতে মিন্নির আইনজীবী জেডআই পান্না খান বলেন, জামিনের পর মিন্নি পালিয়ে যাবেন না বা মামলার তদন্তে হস্তক্ষেপ করবেন না। কারণ তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সী একজন নারী।
অন্যদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন যুক্তি দেখিয়ে বলেন যে মিন্নির জামিন পাওয়া উচিত হবে না। তিনি খুনের আগে ও পরে আটবার ফোনে মূল অভিযুক্ত নয়ন বন্ডের সাথে কথা বলেছেন এবং তিনি এ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী।
হাইকোর্ট ২০ আগস্ট মিন্নির জামিন বিষয়ে রুল জারি করে এবং পরবর্তী শুনানিতে মামলার নথি নিয়ে আদালতে হাজির হতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়।
এর আগে ৮ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নির জামিন নামঞ্জুর করে জানায়, কেন তিনি জামিন পাবেন না তার ব্যাখ্যা চাইতে আদালত রুল জারি করতে পারে কিন্তু তাকে এখন জামিন দিতে পারবে না। আদালত আরও বলে, তাদের এ মামলায় মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে (২২) কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করতে দেখা যায় মিন্নিকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেয়ার পর রিফাত মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ লাইনে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তবে রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৯ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের দাবি, কারাগারে মিন্নি তাদের জানিয়েছেন যে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। ৩১ জুলাই মিন্নির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়।