এ সঙ্কটের সমাধানে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার অভিমতও ব্যক্ত করেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তুরস্ক থেকে আরও সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তুরস্কের আঙ্কারায় প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাথে এক বৈঠকে রোহিঙ্গা সংঙ্কট ও দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বৈঠকে বাণিজ্যিক পণ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, আরও বেশি প্রতিনিধিদল পাঠানো এবং মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
এসময় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামরিক খাতে চলমান সহযোগিতা শক্তিশালী বলে অভিহিত করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা।
আগামী বছরের গোড়ার দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান চেয়ার এরদোয়ান যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মহামারি কোভিড-১৯ অবসানের পর দ্রুততম সময়ে ঢাকায় নব-নির্মিত তুরস্কের দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের প্রাক্কালে বাংলাদেশে ভ্রমণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
নতুন সদস্যরাষ্ট্র যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণের ব্যাপারে জোর দিয়ে দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে দ্যমান শুল্কবাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেন তিনি।
এছাড়া উভয় দেশে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করে এরদোয়ান বাংলাদেশে তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের প্রস্তাব দেন।
এ সভায় দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে উচ্চতর পর্যায়ে এফওসি অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অদূর ভবিষ্যতে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফোরাম গঠনের ব্যাপারে একমত হন তারা।
এ বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাসওলু উপস্থিত ছিলেন।