বক্তারা মনে করেন, জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে চলা বিচার কার্যক্রমের কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) রাজধানী গুলশানের একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা সংকট: কেন জবাবদিহিতা?’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে।
প্যানেলটি গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি সম্পর্কিত কনভেনশনের মামলার (গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমার) গণশুনানিতে অংশ নেয়া সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহিদুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
মৌলবাদের ঝুঁকি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, মৌলবাদ দেখা যায় না তবে সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তারা মনে করেন, এ নিয়ে দ্বিপক্ষীয়, বহুপাক্ষিক এবং জবাবদিহি ফ্রন্টগুলোতে সমানভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা বাড়াতে জবাবদিহিতা জরুরি এবং রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করানো বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার বেনোইট প্রভোটেইন, সচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর) মাসুদ বিন মোমেন, নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস মিশনের উপ-প্রধান জেরোইন স্টেগস, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. মফিদুল হক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (ইউএন শাখা) নাহিদা সোবহান প্রমুখ এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আইসিজে ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কানাডার হাই কমিশনার বেনোইট প্রভোটেইন বলেন, আইসিজে যা ঘটেছে তা নিয়ে আমরা আশাবাদী তবে এতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, এটি পাঁচ থেকে দশ বছরের দীর্ঘ মেয়াদের বিষয় এবং প্রকৃত ফলাফলের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে।