কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হাইদার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিয়েই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ।
রিটে কক্সবাজারের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত সব নথি বাতিল করা এবং রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদানের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।
এই রিটের উপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল ও আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের