রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত প্রকৃতির উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এ বোঝা, দায়ভার ও দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরষিদে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক সহায়তাসহ জাতিসংঘের মানবিক ও দুর্যোগ-ত্রাণ সহায়তার সমন্বয় জোরদার করা’ র্শীষক সাধারণ বক্তব্যে এ আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদশেরে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
জাতসিংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সহযোগতিার মাধ্যমে বাংলাদশে রোহিঙ্গাদের যে মানবকি সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে তা তুলে ধরে রাবাব ফাতিমা মিয়ানমার পরস্থিতির ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও বেশি মনোযোগ বাড়ানোর অনুরোধ জানান। যেন মিয়ানমার থেকে জোরর্পূবক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা নিজ ভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যার্বতনের উপযোগী পরবিশে তৈরি হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের ফলে এই অঞ্চলে ইতোমধ্যে যে জটিল রাজনৈতিক ও মানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা আরও জটিলতর পরস্থিতির সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মামলা, ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মানবিক পরিস্থিতিতে ঝুঁকি হ্রাস, প্রতিরোধ, অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ অর্জন, ত্রাণ ও প্রশমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে উত্তম অনুশীলন এবং বিশেষ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে তা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা “মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরকিল্পনা” গ্রহণ করেছি যা আমাদের জলবায়ু নাজুক পরিস্থিতি থেকে জলবায়ুর প্রতিকূলতা মোকাবলিা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ অর্জন ও সমৃদ্ধিপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে দাবিত করছে।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ক্রমবর্ধমান উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলনে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুতদের মানবিক চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ও অন্যান্য অংশীজনের মধ্যে পারস্পরকি সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তিনি প্লাটর্ফম অন ডিজিস্টার ডিসপ্লেসমেন্ট এর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে জরুরি সাড়া দান র্পযায় থেকে প্রস্তুতি ও প্রতিকূলতা মোকাবলিা করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে জাতীয় অগ্রাধকিার ও মাঠ র্পযায়রে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনার গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন র্কমকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মানবিক সহযোগিতার ওপর নির্ভশীলতা হ্রাস ও প্রতিকূলতা মোকাবলিায় সক্ষম সমাজ বিনির্মাণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহযোগিতার প্রবেশাধিকার না দেয়া এবং মানবাধিকার কর্মী ও মানবিক সাহায্যের স্থাপনা সরঞ্জামের ওপর নির্বিচারে সশস্ত্র হামলার বিষয়ে উদ্বেগ পেকাশ করেন ফাতিমা। এ ধরনের সহিংসতার দায়বদ্ধতা নিরূপণে গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
সাধারণ বক্তব্যের ওপর সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘের মানবিক ও দুর্যোগ ত্রাণ সহযোগিতার সমন্বয় শক্তিশালীকরণ বিষয়ক চারটি রেজুলেশন গৃহীত হয়। এর মধ্যে গ্রুপ-৭৭ ও চীন এর পক্ষে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক রেজুলেশন গ্রহণের ক্ষেত্রে সমন্বয় করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেবে: মিয়া সেপ্পো