ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সফররত প্রতিনিধি দল সোমবার (১৩ নভেম্বর) ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এবং তাদের সহায়তার অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইেএস) পাওলা পাম্পালোনির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাংলাদেশে আজকের কর্মসূচি ছিল রোহিঙ্গা শিবিরসহ নারী শরণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়, স্কুল, রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র ও খাদ্য কেন্দ্র পরিদর্শন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ, রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্স সেন্টার, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় কমিশনের (ইসিএইচও) মানবিক সহায়তা বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রোহিঙ্গা সংকটে ‘তার সমর্থন বজায় রাখছে’।
ইইএএস-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দেশের শ্রম খাতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে রবিবার ঢাকায় এসেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ব্রাসেলস থেকে প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, 'শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য সদ্য ঢাকায় এসেছি।
তারা ঢাকার বাড্ডায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি স্কুল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম পরিস্থিতি মূল্যায়নে ইইউ প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি বলেন, 'ঢাকায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বুধবার তারা সরকারের শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে 'অগ্রগতি পর্যালোচনা' করার লক্ষ্যে এই সফর।
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি আইএলও গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকারের জমা দেওয়া রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনের উন্নতি করা।
গত মাসে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেছিলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশের আবেদন বিবেচনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং কমিশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে শ্রম আইনকে একত্রিত করা একটি ‘অপরিহার্য উপাদান’ হবে।
ঢাকায় এক সেমিনারে তিনি বলেন, 'এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) এর পর জিএসপি প্লাসে যোগদানের বিকল্প বাংলাদেশের রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রম খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে রবিবার ঢাকায় আসছে ইইউ দল
শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল