মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। কারণ এলিট ফোর্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা সন্ত্রাস, চরমপন্থা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন স্টেট ডিপার্টমেন্টে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরেন
এসময় তিনি র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলেছেন।
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ধর্মীয় সম্প্রীতিকে ক্ষুণ্ন করা এবং নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক অপরাধসহ সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) প্রণয়নের প্রেক্ষাপট বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি জানান, সরকার আইনের পুনর্মূল্যায়ন এবং সম্ভাব্য ত্রুটি চিহ্নিত করতে ইইউ’র সঙ্গে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা জোরদার করতে ঢাকা-ওয়াশিংটনের আলোচনা
শ্রম ইস্যুতে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইএলও ও ইইউর সঙ্গে গৃহীত রোডম্যাপ অনুসারে শ্রম পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ডেপুটি সেক্রেটারি শেরম্যান এই সমস্যাগুলোর সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি বিশেষ করে বেসরকারি খাতে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংক্রান্ত সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত একটি বার্তা অনুসারে, তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব তাকে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন প্রণয়নের মতো অগ্রগতি এবং সম্প্রতি দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে অবহিত করেন।
দুই পক্ষ ইউক্রেনের পরিস্থিতি এবং এর বৈশ্বিক প্রভাব, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং নিরাপত্তা খাতের সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মার্কিন আইনপ্রণেতাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী