মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যেভাবে র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।’
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলবের ঘটনা দেশে আগে ঘটেছে কি না জানি না; তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি।’
যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ক্রমাগতভাবে বছরের পর বছর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তাদের হেফাজতে যে মৃত্যু হয় সেগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু ইসরাইলের কোনো কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি। যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক, ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশের কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি।’
এ ঘটনায় ভোটের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। কোন দেশ কার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটি জনগণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।’
এদিকে পদত্যাগ করলেও ডা. মুরাদ হাসান এখনও সাংসদ আছেন। তার সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নাই। সুতরাং আমি বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়: তথ্যমন্ত্রী
মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী