ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ খেতই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
এলাকার আমন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে জমিতে শুয়ে পড়েছে মাঠের আধা পাকা আমন ধান।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আগাম জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে কৃষককে সরকারি প্রণোদনা বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
দুহুলী গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ঝড়ে ধান গাছগুলো নেতিয়ে পড়েছে। আমার ২০ শতক জমির ধান হেলে পড়েছে। ধানের শীষে যে দানা রয়েছে তা এখনো শক্ত হয়নি। অনেক ধান চিটা হয়ে যাবে। আর যে ফলন হওয়ার কথা ছিল তাও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি, ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র চালু
কৃষক মহেশ বাবু জানান, তিনি বর্গা নিয়ে ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ঝোড়ো হাওয়ায় ধান গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এতে উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না এমনটাই জানায় কৃষি অফিস।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই দুর্যোগ কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে বেড়েছে পানি