প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি যে কোনো হুমকি নস্যাৎ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি বাইরে থেকে শত্রু আমাদের আক্রমণ করে, তবে আমাদের অবশ্যই তা যথাযথভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
মঙ্গলবার শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধনকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়' পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা যুদ্ধে জড়াব না,তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর মানোন্নয়ন, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তার তালিকা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করে,১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট অপারেশনস ট্রেনিং এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
এছাড়া তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবার ২০০০ সালে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে একটানা নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার একটি প্রশিক্ষিত ও যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
এ জন্য বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর ভিত্তিতে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে এবং ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি,২০১৮’ প্রণয়ন করে।