প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উপকূলীয় শহর কক্সবাজারের প্রধান প্রধান পয়েন্ট এবং রাস্তার দুই পাশ এখন ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে সজ্জিত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এদিন দুপুর আড়াইটায় মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ঝিনুক আকৃতির এই রেলস্টেশন উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ দিন প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এই ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৯টি বড় প্রকল্প এবং ৬টি ছোট প্রকল্প।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল, বাকখালী নদীর ওপর সেতু, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা, উখিয়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, রামু উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চকরিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ, মহেশখালীর কুতুবদিয়া থান্ডা চৌকিদার পাড়া আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, মহেশখালীর গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতাবাজার সড়ক, বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি ভরাট, বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প, ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী ইউনুসখালী উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া রত্না এবং মরিচিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন।
এছাড়া মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের ১ম টার্মিনাল, টেকনাফ বহুমুখী দুর্যোগ সহনশীল আশ্রয় কেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার, রামুর নন্দখালী সড়কে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
এ আয়োজন সফল করতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগও সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, এই জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে। পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন ইমরান কক্সবাজারে সব ধরনের বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন