এ লক্ষ্যে এনপিও প্রণিত খসড়া কনটেন্ট ইতিমধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) পাঠানো হয়। এটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্রকরণ, জেলা পর্যায়ে স্থাপিত বিসিক শিল্পনগরিগুলোতে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর অপচয় ও অদক্ষতা দূরীকরণে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ জোরদারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সাথে চিনিকলগুলোর রিকভারির হার বাড়াতে উন্নত ইক্ষুজাত উদ্ভাবন এবং মাঠ পর্যায়ে এর ব্যবহার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসেবে বিভিন্ন ট্রেড বডির সাথে এনপিও’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বাংলাদেশ ফিনিসড লেদার, লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর আলোকে এনপিও থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডির সদস্যদেরকে নিজ নিজ শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিকমানের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিস দেয়া হবে।
সভায় শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনলেও এগুলোকে লাভজনক করার সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে লোকসান হওয়ার পেছনে কারণগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। এর আলোকে আসন্ন মাড়াই মৌসুমের জন্য কার্যকর কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আসন্ন মাড়াই মৌসুমেই চিনি শিল্পের ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চিনিকলগুলোর পাশাপাশি বিসিআইসি এবং বিএসইসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কারখানাগুলোতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও লিকেজ দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন, শিল্প সচিব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল, এনপিও পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা।