বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগে বন্দরে লোড আনলোডসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা।
সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে থানার সামনে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ জানান, সাজেল নামে আমাদের এক সর্দার গত শুক্রবার রাতে পুটখালী ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় পুটখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল গফফারের ছেলে ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন পাশের হাটখোলা বাজারে সাজেলকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা বন্দরে লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে বেনাপোল পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফফার বলেন, গেল ইউপি নির্বাচনের আগে শ্রমিক সাজেল আমার ছেলেকে মারধর করে আহত করে। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে আমার ছেলে সাজেলকে বাজারে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পড় কিলঘুসি মারে। পরে এ নিয়ে আলোচনা করে মীমাংসা করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, গফফার চেয়ারম্যানের লোকজন বন্দরের সাজেল নামে এক শ্রমিককে মারধর করার অভিযোগে শ্রমিকরা বন্দরে কাজ বন্ধ রেখেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।