অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, সংঘাতের পরিণতিতে প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেয়ে প্রতিরোধে বিনিয়োগ করা সবসময়ই ‘ভালো এবং বুদ্ধিদীপ্ত’ কাজ।
বুধবার জাতিসংঘে শান্তি বিনির্মাণের জন্য অর্থায়ন বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
শান্তি বিনির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত, অনুমেয় ও টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য এ বৈঠকে সদস্য দেশগুলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং সচিবালয়, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (আইএফআইএস) এবং নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোকে একত্র করেছে।
শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের চেয়ার হিসেবে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা কমিশনের পক্ষে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। যাতে সাধারণ পরিষদের উদ্দেশে শান্তিপ্রতিষ্ঠার অর্থায়ন সংক্রান্ত বিবেচনার জন্য কিছু বাস্তবসম্মত সুপারিশ ছিল।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রাপ্ত বার্তা অনুসারে জানা যায়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থায়ন একটি দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ। ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং করোনা মহামারির কারণে আগের দুর্বলতাগুলো আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘এই উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকটি শান্তি বিনির্মাণ অর্থায়নের জন্য সমস্ত বিকল্প যেমন- স্বেচ্ছাসেবী এবং নির্ধারিত উৎসসমূহের পাশাপাশি উদ্ভাবনী উৎসগুলোকে বিবেচনা করার একটি সুযোগ দেয়। যাতে এই বিষয়ে সত্যিকার অগ্রগতি হয়।’
রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ সফল জাতি গঠনে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জন্ম একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ থেকে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন