মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: এমপি পাপুলের সাজা: রায়ের কপি পেয়েছে সরকার
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ৭ জুন পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন :এমপি পাপুলের স্ত্রী-মেয়ের জামিন বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতের রায়ে দণ্ডিত পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আরও পড়ুন: পাপুলের স্ত্রী-মেয়ের জামিন আবেদনে নথি জালিয়াতি তদন্তের নির্দেশ
এদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর পাপুলের এমপি পদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তার বোন নুরুন্নাহার বেগম। রিটে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে ৭ মাস আর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে ৩ মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।