তিনি বলেন, ‘সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত চারটি কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। সড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১ দফা সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১১১ সুপারিশ ছিল। সেই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। সেই টাস্কফোর্সের আজ দ্বিতীয় সভা হলো। সভায় সকলে তাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন কীভাবে এ সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যায়। এর আগে প্রথম সভায় চারজন সচিবের নেতৃত্বে চারটি কমিটি করে দিয়েছিলাম কীভাবে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। তারা আজকে তাদের সুপারিশ দিয়েছেন। তাদের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা ও আলোচনা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বনানী সড়ক সংলগ্ন সেতু ভবন সরাতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
চারটি কমিটির সুপারিশের বিষয়গুলো আগামী সভায় জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
‘সভায় যে প্রস্তাবগুলো আসছে সেগুলোর কোনোটা স্বল্প, কোনোটা মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি। এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিতভাবে কাজ করার জন্য চারটি কমিটি রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি তার অনেকগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা বসে নেই, কোভিডের জন্য ধীর গতিতে আছি,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ৪৩৯: প্রতিবেদন
আসাদুজ্জামান জানান, সরকার ১১১ দফা সুপারিশ ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে যাবে। ‘ধীরে যাব এ কারণে যে কোভিডের কারণে সারা বিশ্ব আজ এটা স্থবির অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বসে নেই, কাজ করছি। আমরা সর্বক্ষেত্রে কাজ করছি বলেই আমাদের সব কিছু চলছে। তারপরও কোভিডের জন্য আমরা অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়েছি। সেই জায়গা থেকে উত্তরণের জন্য আগামী সভাগুলোতে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কীভাবে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্যস্ততম এলাকা সাইনবোর্ডে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার
সুপারিশ বাস্তবায়নে বেশি সময় নেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেশি সময় নেইনি। ২০১৯ সালের শুরু দিকে এ কমিটি হয়েছিল। কমিটি হওয়ার পরই সভা করেছি। সেখানে চারটি কমিটি করেছি। তাদের মূল লক্ষ্য হলো এ সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে আমাদের করণীয় কী? তারা সেই করণীয় সম্পর্কে আজকে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেটা করছি এবং বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা নেব। সেখানে প্রধানমন্ত্রীরও কতোগুলো দিক নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের আইন রয়েছে সেই আইনেও বিধিমালা কিছু পাস হয়েছে। সেসব বিবেচনায় নিয়ে আমরা সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: পল্লী এলাকার সড়ক পুনর্বাসনে বড় ধরনের প্রকল্প নিল সরকার
সুপারিশ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কবে নাগাদ যাওয়া যাবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন কেউ মোটরসাইকেলে হেলমেট ছাড়া চড়ে না। এ রকম অনেক সুপারিশ আমরা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমরা আরও তড়িৎ গতিতে কীভাবে বাস্তবায়ন করতে পারব সেটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সুরক্ষা সেবা সচিব মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাজাহান খান, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কাঞ্চন প্রমুখ ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।