তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করি যেখানে অন্যান্য দেশের সেনা সদস্যরাও রয়েছে… তাদের সাথে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
রবিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানটি যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।
পাহাড়ে পথ হারানো ৪ তরুণকে উদ্ধার করল বিমান বাহিনী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সশস্ত্র বাহিনীতে নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার তা করছে।
তিনি জানান, বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে অত্যাধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি বিমান ইতোমধ্যেই দেশে এসে পৌঁছেছে।
বৈমানিকদের উন্নততর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে বহরে আরও ৭টি অত্যাধুনিক কে-৮ ডব্লিউ জেট ট্রেইনার বিমান সংযোজন করা হয়েছে এবং অচিরেই পিটি-৬ সিমুলেটর যুক্ত হতে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংহত করার জন্য শিগগিরই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম, মোবাইল গ্যাপ ফিলার রাডার এবং সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স রাডার বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।
‘ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীকে উন্নত এবং এর আধুনিকায়নে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে,’ বলেন তিনি।
শান্তিতে বিশ্বাসী, তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মহামারিজনিত কারণে সরকার কাঙ্ক্ষিত অর্থ ব্যয় করতে পারেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিমান বাহিনীকে আরও সময়োপযোগী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
সম্প্রতি লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) অস্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এটি দেশে এভিয়েশন এবং অ্যারোস্পেস সম্পর্কিত প্রথম এবং একমাত্র বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিন বাহিনী প্রধানদের সাক্ষাৎ
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি একদিন আমরা যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ। আমরা মহাকাশ গবেষণা এবং মহাকাশে যেতেও সক্ষম হব। সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
বিশ্বের আধুনিক বাহিনীগুলোর সাথে তাল মেলাতে এবং বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিমান বাহিনীর সকল সদস্য, বিশেষত নবীন ক্যাডেটদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।