জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জনগণের জন্য সরকার যে কাজগুলো করছে সাংবাদিকেরা তা যথাযথভাবে তুলে ধরছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে। দিনে দিনে সাংবাদিকতার উন্নতি হচ্ছে। এবিষয়ে সরকার সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
মঙ্গলবার বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)। 'রোল অব মিডিয়া ইন গুড গর্ভানেন্স' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম বিষয় হচ্ছে মানুষ হিসেবে ভালো হওয়া। একজন ভালো মানুষ শিক্ষক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবেও ভালো হবেন। সুশৃঙ্খল স্বাধীনতাই পারে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে। অনেক মিডিয়া এসেছে, এতে কাজের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, প্রতিযোগিতা বাড়ছে। যারা মিডিয়া করছেন, তারাও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কাজের পরিধি বাড়ছে, নতুন নতুন টেকনোলজি আসছে, আমরাও সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে চাই।
আরও পড়ুন: আগের নিয়োগ পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের
কর্মশালায় প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মোমিনুর রশিদ আমিন।
বক্তব্য দেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সরকারের সমালোচনা করুন, তবে সেটির তথ্য সঠিক হতে হবে। সাংবাদিক কাউকে জেল দিতে পারে না, তার লক্ষ্য হচ্ছে অপরাধীকে লজ্জিত করা। অপরাধী যেনো মনে করে অপরাধ করলে লজ্জায় পড়তে হবে। সে কারণে অপরাধ থেকে দূরে থাকবে। সাংবাদিকতার প্রাণ হচ্ছে সম্পাদনা। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ওয়ান ম্যান শো, কোথায় সেখানে সম্পাদনা। অনেকে সাংবাদিকতায় এলেও নানা কারণে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। মেধাবীদের ধরে রাখার জন্য যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।
প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৮ কেন্দ্রে হবে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা