ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায়। এছাড়া রবিবার সকাল থেকে চলছে রোদ আর মেঘের লুকোচুরি।
এদিকে গরম পড়ছে। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ গরম একটু কম।
এছাড়া মোখা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকর আলী বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলে মোখা তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে হয়তো পারবে না। তবে নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।
সুন্দরবনবর্তী মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, সকাল থেকে প্রচন্ড রোদ। গরমও পড়ছে। আকাশে মাঝে মাঝে সামান্য মেঘ ভাসতে দেখা যাচ্ছে।
সুন্দরবন ঘেষা গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকেই রোদ। মোখার কোনো ধরনের প্রভাব এখানে নেই। তবে মানুষের মধ্যে মোখা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, মানসিকভাবে সবাই প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, জলোচ্ছ্বাস নিয়ে সব চেয়ে বেশি ভয়। কারণ শ্যানগরের একাধিক পয়েন্ট-এ বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজুক। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক এলাকা ভেসে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সর্তক করা হয়েছে। খাদ্য, ওষুধপত্র মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ