সিঙ্গাপুরকে পরিষেবা বিতরণের পাশাপাশি বাণিজ্যের জন্য একটি ‘সংযোগের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের সুবিধা প্রদানকারী দেশ হওয়ার বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি আঞ্চলিক সংযোগ ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহজতর করতে আরও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ কামনা করেন।
পরিবহন মন্ত্রী এবং সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী এস ইসওয়ারান পরিশ্রমী বাংলাদেশী শ্রমিকদের এবং তাদের নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে তাদের অবদানের প্রশংসা করেন।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
কিভাবে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাইজেশন ব্যবহার করে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কাটা যায়, সে বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছেন।
আলম বাংলাদেশের উচ্চ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনারও গুরুত্ব তুলে ধরেন। মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা উপভোগের ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর ও বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, ডেটা মাইনিং এবং বিভিন্ন উচ্চ দক্ষ ক্ষেত্র যেমন- ডিজিটাল সংযোগ এবং পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান অনেক সম্ভাবনায় আগ্রহী। এটিকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রশংসায় ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের মেয়র