সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিমের আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়।
আদালতের সরকারি কৌশলী নওশাদ আহমদ বিচার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী ১০ মে বাদির সাক্ষ্যের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
অভিযোগ গঠনকালে মামলার মূল আসামি সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
এর আগে কয়েকদফা পিছিয়ে যায় অভিযোগ গঠনের তারিখ। সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল ও তা শুনানি না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে ধরে নিয়ে যায় বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন সকালে তিনি মারা যান।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় ফাঁড়িতে নির্যাতন চালিয়ে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতাও মিলে। এরপর এসআই আকবরসহ ফাঁড়িতে কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
এদিকে, এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। গত বছরের ৫ মে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)।
এতে বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন।
চলতি বছরের ৮ মার্চ সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়।