নিহত আব্দুল মজিদ (৩৩) কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ডি-১ এ অবস্থানরত আবদুল মালেকের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ২৮-২৯ সীমান্ত পিলার এলাকার শূন্য রেখায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরিত হয়ে রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বিজিবির সহায়তায় পুলিশ সীমান্তের থোয়াইঙ্গাঝিরি থেকে রোহিঙ্গার লাশটি উদ্ধার করেছে। বিস্ফোরণে যুবকের দুটি পায়ের নিচের অংশ উড়ে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বাইশফাঁড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বিজিবি-পুলিশের সদস্যরা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৩৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ জানান, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থলের অপরপ্রান্তে অবস্থানরত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে শূন্য রেখায় মাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আরও একজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছিল। বান্দরবান সীমান্তের চারটি পয়েন্টে মাইন বিস্ফোরণে একজন বাংলাদেশিসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২০ জনের বেশি। সীমান্তের অন্তত ৯টি পয়েন্টের শূন্য রেখায় এবং কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁষে স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।