তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের সমুদ্র অঞ্চল রক্ষা করতে চাই না, সামুদ্রিক সংস্থানগুলো ব্যবহার করছি, যাতে আমরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। এইক্ষেত্রে আমরা ব্লু ইকোনমি এই ধারণাপত্র আমরা নিয়েছি এবং তার উপর আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজসহ পাঁচটি নতুন জাহাজ কমিশনিং করার সময় এসব কথা বলেন।
পাঁচটি জাহাজের মধ্যে রয়েছে- বানৌজা উমর ফারুক, বানৌজা আবু উবায়দাহ, বানৌজা প্রত্যাশা, বানৌজা দর্শক এবং বানৌজা তল্লাশী।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল চট্টগ্রামের বানৌজা ঈসা খান নৌ জেটিতে জাহাজগুলোর ক্যাপ্টেনদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কমিশনিং ফরমান’ হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্র অঞ্চলে সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সামুদ্রিক আইন গ্রহণ করার আগেই ১৯৭৪ সালে টেরিটরিয়াল ওয়াটারস এবং মেরিটাইম আইন প্রণয়ন করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পরে অন্যান্য সরকারগুলো বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলে সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
‘যারা জাতির জনককে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা পরবর্তী ২১ বছরের সময়কালে সামুদ্রিক অঞ্চলে দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ভাবেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করি,’ বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নৌবাহিনীর পাঁচটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজের মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে দুটি আধুনিক ফ্রিগেট ‘বানৌজা ওমর ফারুক’ ও ‘আবু উবাইদাহ’, একটি করভেট যুদ্ধজাহাজ ‘প্রত্যাশা’ এবং দুটি জরিপ জাহাজ ‘বানৌজা দর্শক’ ও ‘তল্লাশি’।