আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে মৃত সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে যখন ওই নারীকে নওগাঁ থেকে আটক করা হয়েছিল; তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা হয়নি। এর একদিন পর মামলা দায়ের করা হয়। সুতরাং, এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হলো ওই নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধরা পড়েননি।
দু-একটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নওগাঁ পৌরসভা-চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানাকে (৩৮) ২২ মার্চ র্যাব-৫ এর একটি টহল দল তুলে নিয়ে যায়।
পরে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে মামলাগুলো করা হয়েছে বা করা হচ্ছে সেগুলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বীকার করি আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক। জনগণের কাছে সত্য প্রকাশ করলে সরকার কখনো বাধা দেবে না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) লোকজন ধরে নিয়ে যায়।
একই দিন দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।