জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বলেছে যে তারা প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে, যাতে বাংলাদেশের ত্বরান্বিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সাত জাপানি নাগরিকের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকে।
জাইকা ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলার সময় মারা যাওয়া সাত জাপানি পরামর্শকের প্রতি সমবেদনা জানাতে ৩ জুলাই উত্তরার মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রে (এমইআইসি) একটি বার্ষিক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নিহত সাতজন জাপানি ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
জাইকার এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইয়ামাদা জুনিচি বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনার সাত বছর পেরিয়ে গেছে এবং বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ও নাগরিকসহ অনেক মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছে।
জুনিচি বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনার সাত বছর পার হয়েছে-বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ও নাগরিকরাসহ প্রাণ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন পেশাদার হিসেবে, বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সময় ও অক্লান্ত শ্রম দিয়ে নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন তাদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাদের অবদান চির স্মরণীয়। আমরা কখনওই তাদের অবদান ভুলবো না। গত বছর, আমরা মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করেছি। এ স্মৃতিস্তম্ভটি তারই প্রতীক।’
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: সপ্তম বার্ষিকীতে নিহতদের প্রতি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা
বক্তৃতার সময় তিনি আরও জানান যে জাইকা প্রকল্প কাজে নিয়োজিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়াও, বিভিন্ন যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং তারা যেনো মেট্রোরেলের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন এজন্য ঢাকা মেট্রো রেলের লাইন ৬ -এ লিফট, স্বয়ংক্রিয় প্রশস্ত টিকিট গেট, ব্রেইল ব্লক, বয়স্কদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসন, শুধুমাত্র নারীরা ব্যবহার করবেন এমন গাড়িসহ নানা সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিহত সাত জাপানি নাগরিকের স্মৃতি ও অবদান যেনো বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে এজন্য ধারাবাহিকভাবে এ প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করবে জাইকা।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাপান সরকার অনুষ্ঠানের অংশীদার ছিল এবং জাপানি পরামর্শদাতা যেমন আলমেক করপোরেশন, ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট গ্লোবাল এবং কাতাহিরা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্টারন্যাশনাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাইকার এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইয়ামাদা জুনিচি, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল কোম্পানির সিইও ও প্রেসিডেন্ট ইয়োনেজাওয়া এইজি, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জনাব মোঃ নাজমুল হুদা, মহাপরিচালক, (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া), ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.এ.এন. সিদ্দিক, বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।
আরও পড়ুন: শনিবার হলি আর্টিজানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বাংলাদেশ