চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ‘গোপন বৈঠককালে’ জায়ামাতের ১১ নারী সদস্যকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার আটকদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে হাজীগঞ্জ শহরের পশ্চিম বাজারের একটি বাসায় বৈঠক চলাকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
তাৎক্ষণিক আটককৃতদের নাম জানা যায়নি। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৫৫ এর মধ্যে। তারা সবাই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে কিউসি টাওয়ারের ‘বি’ ব্লকের সত্ত্বাধীকারী মো.সফিকুর রহমানের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে তার অফিস সহায়ক (দারোয়ান) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ওই বাসায় প্রায় সময় নারীরা আসা-যাওয়া করতেন। তারা কি জন্য বা কি কারণে আসা-যাওয়া করতেন, তা তিনি জানেন না।
এখন নারীদের আটক হওয়ার পর তিনি বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
এ দিকে ওই সময়ে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে অবসরকালীন ছুটিতে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে ওই স্থান থেকে সরে যান। পরে তাকে না পাওয়ায় এবং তার মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করতে না পারায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, কিউসি টাওয়ারের ১১ তলার ‘বি’ ব্লকে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মরত ছিলেন। চলতি বছর তিনি অবসরকালীন ছুটিতে যান।
তিনি বাসা ভাড়া নেয়ার পর থেকে নিয়মিত ওই বাসায় জামায়াতের নারী সদস্যরা আসা-যাওয়া করতেন এবং গোপন বৈঠক হতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসাসহ ভবনটি নজরদারীতে রাখে পুলিশ। এরপর রবিবার গোপন বৈঠক চলাকালে অভিযান পরিচালনা করে জামায়াতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করা হয়।
এ সময় ওই বাসা থেকে জামায়াতের মতাদর্শের বই, প্রচারপত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ বই ও দাওয়াতি কার্ডসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যথা নিশ্চিত করেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সোমবার তাদেরকে চাঁদপুরের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠান।
আরও পড়ুন: জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী