দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ৪২৮ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানকে কম শুল্ক হারে ১৭ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ১৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এই অনুমতি দিয়েছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে অবহিত করেছে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে চালের দাম আবারও বৃদ্ধি
সোমবার (৩০ আগস্ট) ৭৯টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ (নন-সেদ্ধ) চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। এনিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় মোট ৪২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
তবে আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করতে হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে অন্যান্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত চালের মধ্যে সর্বাধিক ৫ শতাংশ ভাঙা শস্য নিশ্চিত করা, ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) খোলা এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ইমেইলের মাধ্যমে এলসি সম্পর্কিত তথ্য অবিলম্বে জানানো।
আরও পড়ুন: শেরপুরে চালের দাম বাড়ানোর দাবি চালকল মালিকদের
এছাড়া আমদানিকৃত চাল আমদানিকারকদের নাম ব্যবহার করে পুনরায় প্যাকেজ করা যাবে না এবং চাল প্লাস্টিকের বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
যদি কেউ নির্ধারিত সময়ে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়, তবে অনুমতি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে ১২ আগস্ট স্থানীয় বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। চালের আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। কম আমদানি শুল্কের সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার: আটক ১
আমদানি করা চাল ইতোমধ্যে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করেছে।