২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট ও বিড়ির মতো তামাকজাত পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদে আসন্ন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সিগারেট মানব স্বাস্থ্যের জন্য সম্পূর্ণ ক্ষতিকর। তামাক ও এ জাতীয় পণ্যের ব্যবহার কমাতে এবং এ খাত থেকে রাজস্ব বাড়াতে আইনের দ্বিতীয় ধারায় উল্লিখিত তামাকজাত পণ্যের মধ্যে সিগারেটের ওপর ৬৫ শতাংশের পরিবর্তে ৬৬ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার খুচরা মূল্য ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ২ শতাংশ (যা বর্তমানে ৫৮ শতাংশ) বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া মধ্যম ও উচ্চ স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার মূল্য যথাক্রমে ৭০ টাকা (যা বর্তমানে ৬৭ টাকা) এবং ১২০ টাকা (যা বর্তমানে ১১৩ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির সিগারেটের দশ শলাকার মূল্য ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এসব স্তরে সম্পূরক শূল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এ ছাড়াও ১০ গ্রাম জর্দা ও গুলের দাম যথাক্রমে ৩ টাকা (৬.৬৭ শতাংশ) ও ২ টাকা (৮.৭ শতাংশ) বাড়ানো হলেও সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নিম্নস্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্যস্তর ৫০ টাকা ও এর চেয়ে বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। এছাড়া মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্যস্তর ৭০ টাকা বা তার বেশি, উচ্চস্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্যস্তর ১২০ টাকা বা তার বেশি, অতি উচ্চস্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্যস্তর ১৬০ টাকা বা তার বেশি এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।’
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছরের মতো হাতে তৈরি বিড়ির (ফিল্টার ছাড়া) ২৫ শলাকার সর্বোচ্চ মূল্য ১৮ টাকা, ১২ শলাকার সর্বোচ্চ মূল্য ৯ টাকা ও আট শলাকার সর্বোচ্চ মূল্য ৬ টাকা এবং সম্পূরক শূল্ক গত বছরের মতো ৩০ শতাংশই রাখার প্রস্তাব করছি।’
‘যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি বিড়ির (ফিল্টারসহ) ২০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৯ টাকা, ১০ শলাকার সর্বোচ্চ মূল্য ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।’
আরও পড়ুন: ১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন