পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে এগোচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সময় এসেছে আমরা এমন ন্যারেটিভ তৈরি শুরু করার, যা বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তার জন্য বৈশ্বিক ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করবে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং এর জন্য শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ঢাকার একটি হোটেলে নেটওয়ার্কিং লাঞ্চের আয়োজন করে।
এই শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করতে আগামী ১১-১৩ মার্চ পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’- আয়োজন করবে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশকে আজ একটি ‘প্রাণবন্ত অর্থনীতি’ ও ‘সম্ভাবনাময় দেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের বিশ্বের জন্য একটি নতুন ভিশন চালু করেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জনগণের কল্যাণ এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।
মোমেন বলেন, “আমি এই দর্শনকে ‘হাসিনানোমিক্স’ বলি।”
তিনি আরও বলেন, তিনি হাসিনানোমিক্স অর্জনের জন্য চারটি চালিকাশক্তির পরিচয় দিয়েছেন– ডিজিটাল বাংলাদেশ, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার বিকাশ; উদ্যোক্তা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং উদার মুক্ত বাজার উদ্যোগ। ফলে আমাদের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাস্তুতন্ত্রকে স্থিতিশীল করতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এর ধারা অব্যাহত রাখতে তারা তাদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে কাজ করছে।
মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ সেই কাজটিই করছে প্রধানমন্ত্রী যা যথার্থভাবে বলেছেন 'জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা' এবং বাংলাদেশকে সংযোগের কেন্দ্রে পরিণত করা, কারণ সংযোগই উৎপাদনশীলতা।”
তিনি আশাবাদী যে এই ইভেন্ট তাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য উইন-উইন দৃষ্টান্ত তৈরিতে তাদের বৈশ্বিক সংযোগ জোরদার করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য ‘জোরালো অগ্রগতি’ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুবই সীমিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী