একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানেরা। একই সঙ্গে এই নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের বিচার দাবি করেছেন তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘৭১ এর গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল তার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে। এর জন্য কোন রাখঢাক নাই। আজকে এটা স্বতঃসিদ্ধ, এখানে গণহত্যা হয়েছে, আমাদের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন এগুলো প্রমাণের আর অপেক্ষা রাখে না। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে যদিও দিবসটিকে এখনও আন্তজার্তিকভাবে কোথাও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিলেও ২৫ মার্চের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞকে কোন দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ ২৫ মার্চের কালরাতে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার স্বাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ২৫ মার্চের ভয়াবহতার ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে যা এখনও চলমান। তাই ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৫ মার্চের গণহত্যার ঘটনাপ্রবাহ ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর প্রয়াস ব্যক্ত করেন তারা।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বীরপ্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির (অব.), কর্নেল তৌফিকুর রহমান (অব.), শহীদ সন্তান নট কিশোর আদিত্য।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চ, ১৯৭১: গণহত্যা দিবসে ফিরে দেখা ইতিহাসের এক ভয়াল কালরাত