অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় তিন আসামির অব্যহতির আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় দেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন-ব্যাংকটির প্রাক্তন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদ।
আদালতে এদিন সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া। হাইকোর্টের এ রায়ের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিরন মিয়া ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। তার সেই মামলায় আসামি করা হয় ব্যাংকটির সাবেক ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আলতাফ হোসেন হাওলাদার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রমনা করপোরেট শাখার প্রধান থাকাকালে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত ঋণ নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বিধিবর্হিভূতভাবে আসামিদের যোগসাজশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণ নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। সেই টাকার সুদে আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে।
এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহত দেয় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জহুরুল হক। বিচারিক আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী।
শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এরপর ওই রুলের ওপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রুল অ্যাপসুলেট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা নেই