তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ থেকে উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে ১৪টি মোবাইল কারখানায় উন্নতমানের মোবাইল উৎপাদন হচ্ছে। বিদেশে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশে ৫জি মোবাইল তৈরি হচ্ছে। আগামী একবছরের মধ্যে প্রতিটি মোবাইল টাওয়ার ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইভার ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক দ্বীপ, চর ও হাওরসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে।’
মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা এলায়েন্স ফর অ্যাফরডেবল ইন্টারনেটের উদ্যোগে ওয়েবিনারে আয়োজিত ব্রডব্যান্ড নীতিমালা বিষয়ক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এটুআই এর সিনিয়র পলিসি এডভাইজার আনির চৌধুরী, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম,এলায়েন্স ফর অ্যাফরডেবল ইন্টারনেটের কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিন আকবর এবং এলানুর সারপঙ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট মানুষের জীবযাত্রায় লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করছে। প্রতিটি মানুষের জন্য উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী ইন্টারনেটকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার বাহন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ইন্টারনেট রাষ্ট্রের জন্য একটি যথাযথ এবং বড় বিনিয়োগ। এরই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফ্রি ওয়াই ফাই জোনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি দেশে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে দ্বীপ, চর, হাওরসহ প্রায় সকল ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, দেশের এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে উচ্চ গতির ইন্টারনেট থাকবে না। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১২৮০০ ফ্রি ওয়াই ফাই জোন গড়ে তোলা হচ্ছে।
‘গত প্রায় ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে দেশে ইন্টারনেট সম্প্রসারণে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ২৭০০ হাজার টাকা বর্তমানে ২৮৫ টাকা। দেশের মানুষের জন্য ইন্টারনেট সহজ লভ্য করতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা শিগগিরই ব্রডব্যান্ড নীতিমালা আপডেট করতে যাচ্ছি।