ইউএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারি নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে শুক্রবার এক অনলাইন সংলাপে অংশ নেন কোভিড টিকা নিয়ে আসা দুই অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
আমেরিকান ওষুধ প্রস্তুতকারী ফাইজারকে সাথে নিয়ে বায়োএনটেকের আবিষ্কার করা করোনা টিকা চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে জানিয়ে বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক উগুর সাহিন বলেন, ‘আর কোনো উপায় নেই। আমাদের এটি জয় করতে হবে এবং আমরা বিজয়ী হতে পারব।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, রেকর্ড স্বল্প সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকাগুলোর গবেষণা ও বিকাশের কাজ চলছে।
বর্তমানে দেড় শতাধিক টিকা উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫টি মানুষের ওপর শেষ-পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল স্তরে আছে। এগুলোর মধ্যে চারটি টিকা অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফলে দেখা গেছে করোনা প্রতিরোধে অনেকটাই কার্যকর।
ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে মিলে টিকা আবিষ্কার করা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা গিলবার্ট বলেন, ‘আমরা এখন খুব ভালো পর্যায়ে রয়েছি যেখানে টিকার কার্যকারিতার ফলাফল প্রকাশ পাচ্ছে এবং প্রথম টিকার লাইসেন্স পাচ্ছি। আর আমাদের যা করা দরকার তা হলো সহযোগিতা অব্যাহত রাখা। কারণ এখন যে পরিমাণে টিকার কথা আমরা চিন্তা করছি তার চেয়ে অনেক বেশি টিকার প্রয়োজন।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বারবার কোভিড-১৯ টিকাকে ‘বিশ্বের জনসাধারণের সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করে কোভ্যাক্স সুবিধার (এ বৈশ্বিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বে ২০২১ সালের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার লক্ষ্য রয়েছে) মাধ্যমে সকলের কাছে টিকা সাশ্রয়ী মূল্য এবং সহজলভ্য করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৯ দেশ কোভ্যাক্স সুবিধার জন্য একত্রিত হয়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্যাভি (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমুনাইজেশন), ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ইনোভেশনস (সিইপিআই)।