ট্রেডিং কোড ‘রবি’ দিয়ে এন ক্যাটাগরির আওতায় কোম্পানিটি লেনদেন শুরু করবে বলে সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ কোটি গ্রাহকের মাইলফলকে রবি
রবি ৫২৩ দশমিক ৭ কোটি টাকার প্রাথমকি গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারের ইতিহাসে বৃহত্তম ইস্যু নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। কোম্পানিটির আইপিও কেনার জন্য আবেদনও পড়েছিল ৫ দশমিক ৭৪ গুণ বেশি।
ফিক্সড-প্রাইস মেথডে ১০ শতাংশ (ইমপ্লয়ি শেয়ারসহ) বা ৫২ দশমিক ৩৭ কোটি শেয়ার ছাড়ার জন্য চলতি বছরের ২ মার্চ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে রবি। প্রতি শেয়ার ১০ টাকা হিসেবে ওই মূলধন তোলার জন্য চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর রবির আইপিও অনুমোদন করে বিএসইসি।
আরও পড়ুন: তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রবি
রবির আইপিওর জন্য মোট ১২ লাখ ৮০ হাজার ৪২৫টি আইপিও আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৯০ জন আবেদনকারীকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
টেলিযোগাযোগ খাতের আওতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে রবির কোম্পানির কোড ২৭০০৩ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ২৬০০৩।
আরও পড়ুন: রবি-গান বাংলা আনল ডিজিটাল সংগীত অনুষ্ঠান ‘রিদম অনলাইন’
২৪ ডিসেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত অভিষেকের আগে তালিকাভুক্ত হওয়া উপলক্ষে একই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএসইর নিকুঞ্জের কার্যালয়ে রবি ও ডিএসই কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘সর্বকালের বৃহত্তম আইপিও দিয়ে শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের তালিকাভুক্তিতে আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, বুয়েট এবং আমাদের রেগুলেটর বিটিআরসির কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে সর্বাধিক উদ্ভাবনী ডিজিটাল লাইফস্টাইল সল্যুশন পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি আমাদের সম্মানিত দেশি ও বিদেশি শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করা।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোন ও রবিকে পাওনা টাকা দিতেই হবে: বিটিআরসি
রবি সম্পর্কে:
এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ (মালয়েশিয়া) এবং ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) একটি যৌথ উদ্যোগ হচ্ছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি)। কোম্পানিটির সিংহভাগের মালিকানা আজিয়াটার। রবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে কোম্পানিটি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে রবি অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশজুড়ে থাকা এ অবকাঠামো ডিজিটাল পণ্য ও সেবা সরবরাহের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক রবির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাটছে দেশবাসী।