রুপালি পর্দায় অভিষেকের তিন দশক পরেও সালমান খান বলিউডের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারদের একজন। তার জীবন এমন যা কিনা একটি বই, একটি বায়োপিক বা একটি তথ্যচিত্র দাবি করে।
প্রকৃতপক্ষে, সালমান তাঁর বলিউড ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মিডিয়ার লাইমলাইটকে অনেকটা ছাপিয়ে গেছেন। সেটা তাঁর ম্যাকো লুকের জন্য, নায়িকাদের সাথে সম্পর্কের গুজব বা ‘বিয়িং হিউম্যান’ অফ -স্ক্রিন ইমেজের জন্য।
বলিউডে তাঁর ৩৩ বছরের দীর্ঘ যাত্রা এখন একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি সিরিজের মাধ্যমে দেখানো হবে। যেটা কিনা তাঁর সুপারস্টার হওয়ার পেছনের পরিচিত ঘটনাগুলো নিয়ে নয় বরং ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তাঁর জীবনের বিভিন্ন বিয়য়ের ওপর আলোকপাত করবে।
শীর্ষস্থানীয় ফিল্ম পোর্টাল 'বলিউড হাঙ্গামা' অনুসারে, তাঁর পরিবারের সদস্য, তাঁর বর্তমান এবং প্রাক্তন সহ-অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ডকু-সিরিজটি তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: মানসপটে সালমান শাহ ও কিছু বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি বনে যাওয়া
পোর্টাল জানিয়েছে, এই ডকুমেন্ট-সিরিজ নির্মাতারা ইতোমধ্যেই এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের প্রিমিয়ার করার জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলোচনা করছে।
১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে আবদুল রশিদ সেলিম সালমান খান নামে জন্ম নেয়া এই সুপারস্টার তার ৩৩ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৮০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি বলিউডের তৃতীয় ধনী অভিনেতা, যার আনুমানিক সম্পদের পরিমাণ ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রোমান্টিক নায়ক থেকে অ্যাকশন হিরো হিসেবে জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করা ছাড়াও সালমান একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
‘বিবি হো তো এইসি’ সিনেমায় একটি সহায়ক ভূমিকার মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে বলিউডে কর্মজীবন শুরু করেন সালমান। কিন্তু তাঁর আসল সাফল্য এসেছে এক বছর পর রোমান্টিক ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-তে অভিনয়ের পর। এই সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: বলিউডে অভিষেক হচ্ছে শাহরুখ কন্যা সুহানার!
অ্যাকশন থ্রিলার করণ অর্জুন (১৯৯৫), কমেডি চলচ্চিত্র বিবি নং ১ (১৯৯৯) এবং পারিবারিক সিনেমা হাম সাথ-সাথ হ্যায় (১৯৯৯)বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা সফল সিনেমা ছিল।
২০০০ এর দশকে তার ক্যারিয়ারে সংক্ষিপ্ত পতনের পর দাবাং (২০১০), এক থা টাইগার (২০১২), কিক (২০১৪) এবং সুলতান (২০১৬) এর মতো অ্যাকশন ফিল্মে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে আরও বেশি গৌরব অর্জন করেন তিনি।
৫৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা টেলিভিশন উপস্থাপনা এবং একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
কিন্তু তাঁর জীবনের একটি অন্ধকার দিকও রয়েছে। তাঁর একজন প্রাক্তন বান্ধবী তার বিরুদ্ধে সম্মানহানীর অভিযোগ এনেছেন এবং তাকে ২০১৮ সালে ভারতের সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকাভুক্ত দুটি কৃষ্ণ হরিণ হত্যার জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: ‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে ‘বেসবাবা’ সুমনের প্রত্যাবর্তন